প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা-২০১৬ এর ফলাফলের উপর ভিত্তি করে বৃত্তিপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। ৮২ হাজার ৪৫৯ শিক্ষার্থী বৃত্তি পেয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বৃত্তির ফল ঘোষণা করেন। বৃত্তিপ্রাপ্তদের তালিকা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের ওয়েবসাইটে www.dpe.gov.bd ফল পাওয়া যাবে।
এর আগে সাধারণ কোটায় ৩৩ হাজার এবং ট্যালেন্টপুলে ২২ হাজার জনকে বৃত্তি দেওয়া হতো। এবার সাধারণ কোটায় ৪৯ হাজার ৫০০ এবং ট্যালেন্টপুলে ৩৩ হাজার শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে।
সাধারণ কোটায় ৪৯ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থীর মধ্যে সাত হাজার ৯৪৬টি ইউনিয়ন পরিষদ/পৌরসভার ওয়ার্ডে প্রতিটিতে ৬টি (তিনজন ছাত্র ও তিনজন ছাত্রী) করে ৪৭ হাজার ৬৭৬টি বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। অবশিষ্ট এক হাজার ৮২৪ বৃত্তি হতে প্রতিটি উপজেলা/থানা হতে আরও ৩টি (একজন ছাত্র, একজন ছাত্রী ও উপজেলা মেধার ভিত্তিতে একজন) করে ৫০৯টি উপজেলা/থানায় মোট এক হাজার ৫২৭টি সাধারণ বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। বাকি ২৯৭টি সাধারণ বৃত্তি হতে প্রতিটি জেলায় আরও চারটি (দুজন ছাত্র ও দুজন ছাত্রী) করে ৬৪ জেলায় আরও ২৫৬টি বৃত্তি বণ্টন করা হয়েছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী বলেন, গতবারের তুলনায় এবার বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অর্থের পরিমাণ বেড়েছে। আগ সাধারণ ক্ষেত্রে মাসিক ১৫০ টাকা দেওয়া হলেও এবার থেকে ২২৫ টাকা এবং ট্যালেন্টপুলে বৃত্তিপ্রাপ্তদের ২০০ টাকা করে দেওয়া হলেও তা বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করা হয়েছে। এসব শিক্ষার্থী ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বৃত্তি সুবিধা ভোগ করবে।
মোস্তাফিজুর রহমান জানান, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার মাধ্যমে ৫৫ হাজার শিক্ষার্থীকে মেধার ভিত্তিতে বৃত্তি দেওয়া হতো। ২০১৫ সাল হতে আরও ২৭ হাজার ৫০০ বাড়িয়ে ৮২ হাজার ৮০০ জন করার সিদ্ধান্ত হয়। ঝরে পড়া রোধ, উপস্থিতি বাড়ানো, মেধার স্বীকৃতি প্রদান ও সুষম মেধা বিকাশের লক্ষ্যে সমাপনী পরীক্ষার উপর ভিত্তি করে উপজেলা ভিত্তিক বৃত্তি প্রদান করে আসছে সরকার।
আগে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়ার জন্য আলাদা পরীক্ষা নেওয়া হতো। ২০১০ সাল থেকে সমাপনী পরীক্ষা চালুর পর এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্য থেকেই উপজেলাভিত্তিক বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে।
গত বছর নভেম্বরে প্রাথমিক সমাপনীতে ২৮ লাখ ৩০ হাজার ৭৩৪ জন এবং ইবতেদায়িতে ২ লাখ ৫৭ হাজার ৫০০ জনশিক্ষার্থী অংশ নেয়। পরীক্ষা শেষে ২৯ ডিসেম্বরপ্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
প্রাথমিকে পাসের হার ৯৮ দশমিক ৫১ শতাংশ এবং ইবতেদায়িতে পাসের হার ছিল ৯৫ দশমিক ৮৫ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ লাখ ৮১ হাজার ৮৯৮শিক্ষার্থী, ইবতেদায়িতে পেয়েছে ৫ হাজার ৯৪৮ শিক্ষার্থী। তবে ইবতেদায়ির শিক্ষার্থীরা বৃত্তির আওতায় নেই।
সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ আসিফ-উজ-জামান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক আবু হেনা মোস্তফা কামাল এবং মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।